দেশ-বিদেশ

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলা : প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ৩৪ শতাংশ সংগ্রহ

নরসুন্দা ডটকম   ডিসেম্বর ৪, ২০১৭

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ৩৪ শতাংশ এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে ।

শরণার্থী সংকটের শততম দিনে সার্বিক অবস্থা বিষয়ে একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী সংগঠনগুলোর জোট ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

শরণার্থীদের জায়গা দেয়া স্থানীয় বাসিন্দাসহ মোট ১২ লাখ মানুষকে সহায়তা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৪৩৪ মিলিয়ন পাউন্ডের মাত্র ৩৪ শতাংশ অর্থ এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

কক্সবাজারে ৮ লাখ ৩০ হাজারের বেশী রোহিঙ্গা রয়েছে, যাদের ৬ লাখ ২৫ হাজার ২৫শে আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। শরণার্থীরা দশটি আলাদা ক্যাম্পে ও সেখানকার স্থানীয়দের শরণার্থী হিসেবে থাকছেন।

এর মধ্যে একটি ক্যাম্প পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে, যেখানে অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য বা চিকিৎসাসেবা ছাড়া থাকছেন।

২৫শে আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত নেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরী করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।শরণার্থী ও তাদের জায়গা দেয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয় সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে এমন ১২ লাখ মানুষের অর্ধেকের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে সহায়তা।

প্রতিবেদনে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নানা সমস্যাও তুলে ধরা হয়।

কলকাতায় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট যেভাবে সংগ্রহ করবেন

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলছেন, “মানবাধিকার সংস্থাগুলো দিনরাত কাজ করছে। কিন্তু বাস্তবতা হল, জরুরি ভিত্তিতে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন আর প্রতিবন্ধকতাও অনেক। আরো অর্থায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, কিন্তু জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোর অবস্থার উন্নতি করতে হলে আরও জায়গা প্রয়োজন।”

ক্যাম্পে সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। মারাত্মক হতে পারে অতিবৃষ্টি বা সাইক্লোনের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব। ক্যাম্পে থাকা শরণার্থীদের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে কিছু সুপারিশও করা হয় প্রতিবেদনে। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যে পুষ্টিমান উন্নয়ন, রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, নতুন ক্যাম্পের জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ও সবগুলো সমস্যা সমাধানে সতর্কতা বৃদ্ধি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

About the author

নরসুন্দা ডটকম